এশিয়ার
খুদে শিক্ষার্থীদের জন্য এ নিয়মিত এক দৃশ্য। ছবি: পিন্টারেস্ট
প্রতিদিন সকালে প্রায় প্রতি ঘরেই এ দৃশ্য দেখা যায়। ঘুমে
কাদা হয়ে আছে শিশু-কিশোরেরা। তাদের ঘুম থেকে টেনেহিঁচড়ে তুলে দিচ্ছেন বাবা-মা। একটু
পরেই স্কুল শুরু হবে। মুখ ধোয়া, নাশতা খাওয়া, ব্যাগ গোছানো—কত কাজ বাকি! ঘুম-জড়ানো চোখ ডলতে
ডলতে স্কুলে হাজির হয় শিশুরা, ঘুমের তৃষ্ণা নিয়েই। গবেষণা জানাচ্ছে, এতে ক্ষতি হচ্ছে
শিশুদেরই। আর তাই যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় স্কুলের সময় পেছানোর জন্য আইন পাসের
চেষ্টা চলছে।
কৈশোর বয়ঃসন্ধির প্রভাবে ছেলেমেয়েদের দেহঘড়িতে পরিবর্তন
আসে। সাধারণত তারা ঘুমাতে যায় রাত ১১টার পর। কিন্তু সকালে স্কুলে যাওয়ার কারণে
তাদের সকালে অনেক আগে উঠতে হয়। ফলে স্বাভাবিক নিদ্রা অভ্যাসে ব্যাঘাত ঘটে। এতে
শরীরে ঘুমের অভাব দেখা দেয়, পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের নানা জরিপ ও
গবেষণা বলছে, এতে হতাশায় ভুগে, এমনকি মাদকাসক্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। এদের পড়াশোনা
ছেড়ে দেওয়ার পরিমাণও বেশি। এসব কারণেই যাতে দেরিতে স্কুল শুরু করা হয়, সে জন্য আইন
পাস করতে চাইছে ক্যালিফোর্নিয়া। আগে স্কুল শুরু করতে গিয়ে ভবিষ্যৎ নষ্ট করার তো
কোনো মানে হয় না।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম।